ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
“ফরিদা মজিদের কবিতা একবারেই বাজার চলতি কবিতা নয়। এতে আছে দ্রোহ, জ্বালা, বেদনা, কৌতুক, ব্যঙ্গ কী নয়। এতে আছে বাংলার গ্রামের, প্রকৃতির ছোট্ট নিবিড় ছবি, আবার পাশাপাশি দুর বিদেশের বিদ্যুৎচমক। এতে কোরানের আয়াত ও বেদের শ্লোক, ছন্দের শাসন ও কল্পনার দুঃশাসন হাত ধরাধরি করে চলে।
এ কবিতা অলস প্রহরের বিলাস নয়, রাত্রির জাগর প্রহরের সমুদ্র-উচ্ছাস।”
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী।
“ফরিদা মজিদের কথন অন্যরকম। প্রথাছুট বাকভঙ্গি নিয়ে বস্তু ও অন্তর্সত্য আবিষ্কারেও তিনি তৎপর। গড্ডল-ছুট এই কবিতা ব্যাতক্রমী শব্দ ও চিত্রে ঋদ্ধ। বঙ্গীয় জীবনবীক্ষার সঙ্গে তিনি সমন্বিত করেন বিশ্বমাত্রা। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অস্তিত্বের সংকট নিয়ে ভাবিত হয়েও তিনি তীব্র কটাক্ষপরায়ণ ও প্রতিবাদী।
ভিন্ন স্বাদের এ কবিতা সমকালীন বাঙালি পাঠককে প্রলুব্ধ করতে ভুল করে না। ফরিদা সমকালীন বাংলা ভাষার এক স্ব-মুদ্রাধারী কবি-কারুকৃৎ।”
মুহম্মদ নূরুল হুদা।
ক্রিয়েটিভ ঢাকা সংস্করণ প্রসঙ্গে
ফরিদা মজিদের কবিতার বই মাত্র একটি। সেটিও বাজারে নেই। প্রকাশক হিসাবে তার বইটির নতুন সংস্করণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তার কবিতা কালোপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক মাত্রই জানেন তার কবিতার দৃঢ় কাঠামো ও গভীরতর বোধের কথা। কবিতায় তিনি একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও স্বদেশী। বাংলার পুরাণ, মুসলমানের কুরআন, সনাতনের বেদ মন্ত্র, আণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতা, পৃথিবীর ভবিষ্যত, চাঁদ, সূর্য, আগ্নেয়গিরি থেকে গাঁদাফুলের গেরুয়া অতীত উঠে আসে তার কবিতায়। বিস্তৃত ক্যানভাস আর ডিটেইলের এমন সমাহার খুব কম কবিতায়ই আমরা পাই। ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ এই একটিমাত্র কাব্যগ্রন্থ নিয়েই ফরিদা মজিদ বাংলা কবিতায় আপন দিগবলয় সৃষ্টি করেছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
By ফরিদা মজিদ
Category: কবিতা
“ফরিদা মজিদের কবিতা একবারেই বাজার চলতি কবিতা নয়। এতে আছে দ্রোহ, জ্বালা, বেদনা, কৌতুক, ব্যঙ্গ কী নয়। এতে আছে বাংলার গ্রামের, প্রকৃতির ছোট্ট নিবিড় ছবি, আবার পাশাপাশি দুর বিদেশের বিদ্যুৎচমক। এতে কোরানের আয়াত ও বেদের শ্লোক, ছন্দের শাসন ও কল্পনার দুঃশাসন হাত ধরাধরি করে চলে।
এ কবিতা অলস প্রহরের বিলাস নয়, রাত্রির জাগর প্রহরের সমুদ্র-উচ্ছাস।”
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী।
“ফরিদা মজিদের কথন অন্যরকম। প্রথাছুট বাকভঙ্গি নিয়ে বস্তু ও অন্তর্সত্য আবিষ্কারেও তিনি তৎপর। গড্ডল-ছুট এই কবিতা ব্যাতক্রমী শব্দ ও চিত্রে ঋদ্ধ। বঙ্গীয় জীবনবীক্ষার সঙ্গে তিনি সমন্বিত করেন বিশ্বমাত্রা। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অস্তিত্বের সংকট নিয়ে ভাবিত হয়েও তিনি তীব্র কটাক্ষপরায়ণ ও প্রতিবাদী।
ভিন্ন স্বাদের এ কবিতা সমকালীন বাঙালি পাঠককে প্রলুব্ধ করতে ভুল করে না। ফরিদা সমকালীন বাংলা ভাষার এক স্ব-মুদ্রাধারী কবি-কারুকৃৎ।”
মুহম্মদ নূরুল হুদা।
ক্রিয়েটিভ ঢাকা সংস্করণ প্রসঙ্গে
ফরিদা মজিদের কবিতার বই মাত্র একটি। সেটিও বাজারে নেই। প্রকাশক হিসাবে তার বইটির নতুন সংস্করণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তার কবিতা কালোপযোগী ও প্রাসঙ্গিক। কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক মাত্রই জানেন তার কবিতার দৃঢ় কাঠামো ও গভীরতর বোধের কথা। কবিতায় তিনি একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও স্বদেশী। বাংলার পুরাণ, মুসলমানের কুরআন, সনাতনের বেদ মন্ত্র, আণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহতা, পৃথিবীর ভবিষ্যত, চাঁদ, সূর্য, আগ্নেয়গিরি থেকে গাঁদাফুলের গেরুয়া অতীত উঠে আসে তার কবিতায়। বিস্তৃত ক্যানভাস আর ডিটেইলের এমন সমাহার খুব কম কবিতায়ই আমরা পাই। ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ এই একটিমাত্র কাব্যগ্রন্থ নিয়েই ফরিদা মজিদ বাংলা কবিতায় আপন দিগবলয় সৃষ্টি করেছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।